ক্ষমতায় এলে সাইকেলের বদলে স্কুটি : প্রতিশ্রুতি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর

28th January 2021 8:43 am বর্ধমান
ক্ষমতায় এলে সাইকেলের বদলে স্কুটি : প্রতিশ্রুতি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  দোরগোড়ায় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে কল্পতরু বিজেপি । রাজ্যের  স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের মুখ্যমন্ত্রী ‘সবুজসাথীর’ যে সাইকেল দিয়েছে তা বিজেপির না পসন্দ ।  পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে এসে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানালেন ,এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে সাইকেল নয়, ছাত্রীদের স্কুটি দেওয়া হবে  । এছাড়াও এদিন তিনি আরো ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেন । রীতিমত মাইক ফুঁকে সৌমিত্র খাঁ প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষনা করতেই করতালিতে ভরে যায় সভাস্থল । সৌমিত্র খাঁর এই প্রতিশ্রতি কে যদিও ’ভোটের লালিপাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন  তৃণমূল নেতৃত্ব ।   এদিন খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্রামে  অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির জনসভা ।সেই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে স্কুটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবার পাশাপাশি সৌমিত্র খাঁ বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও এক হাত নেন।অনুব্রত মণ্ডলরের  ‘ঠেঙ্গিয়ে পগাঢ় পাড়’  করে দেওয়া হুমকির প্রসঙ্গ সামনে এনে  সৌমিত্র খাঁ বলেন, “বিজেপিকে ‘ঠেঙ্গিয়ে পগাঢ় পাড়’ করার আগে উনিই চলে যাবেন রাজনীতি থেকে। আর রাজনীতি করতে পারবেন না ।  এলাকার মানুষই ওকে আর রাজনীতি করতে দেবে না।” সভামঞ্চ থেকে সৌমিত্র খাঁ আরো প্রতিশ্রুতি দেন ,ভোটে জিতলে  বিজেপি প্রত্যেকটা বাড়িতে  চাকরির সংস্থান করবে । পাশাপাশি বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ  সায়নী ঘোষকেও একহাত নেন।তিনি বলেন, দেবী সরস্বতীকে যৌনকর্মী বলেছেন সায়নী ঘোষ। আমরা মনে করি আমাদের শিবলিঙ্গকে যারা অপমান করে, যারা মা মনসাকে অপমান করে তারাই অরিজিনাল যৌনকর্মী। এই ভাষাতেই  তিনি সায়নী ঘোষকে কটাক্ষ করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জোড়াফুল’ প্রতীক নিয়েও  ব্যঙ্গ করন  সৌমিত্রবাবু ।  তিনি বলেন, “জোড়া ফুলের একটি ফুল হল অভিষেক আর অন্য ফুলটি হল  ফিরহাদ হাকিম।” সবুজসাথী সাইকেলের পরিবর্তে সৌমিত্র খাঁর  স্কুটি দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন,“মানুষ বিজেপিকে যে ভোট  দেবেনা তা সৌমিত্র খাঁ সহ সব বিজেপি নেতাই বুঝে গিয়েছেন। তাই এখন তারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিতে শুরু করেছেন । যেমনটা লোকসভা ভোটের আগে দিয়েছিল । বছরে এক কোটি বেকারের চাকরি , প্রত্যেকের  এ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি সবই যে আসলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিল তা এখন গোটা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন । সৌমিত্র খাঁ এদিন যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তা যে আসলে ভাঁওতা, ও ভটের লালিপাপ  তা খণ্ডঘোষ সহ গোটা বাংলার মানুষই জানে । “খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন,“বউ হারিয়ে সৌমিত্র খাঁয়ের  মাথা খারাপ হয়েগেছে।তাই যা খুশি বলে চমক দেওয়ার চেষ্টা করছে । তবে এইসবে কিছু কাজ হবেনা ।লোকসভা ভোটে খণ্ডঘোষের মানুষ  সৌমিত্র খাঁকে হারিয়েছে । এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও খণ্ডঘোষের মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে । ” এদিন বিডিআর রেলের বোয়াইচণ্ডী স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজের উদ্বোধন হয় । সেই অনুষ্ঠানে এলাকার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনের  ডিআরএম নবীন কুমার উপস্থিত থাকেন । ফিতে  কেটে ফুট ওভারব্রিজের উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুর লোকসভার  সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।অনুষ্ঠানে রেলে আদ্রা ডিভিশনের 
সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর অমিত কুমার, ডিএসসি মিগম দোলে, ডিসিএম অভিনব সিদ্ধার্থ সহ অন্যা  আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন ।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।